ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে ব্যর্থতার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রাসেলসে বৈঠকের পর প্রথমবার কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেছেন, এখন সময় প্রতিষ্ঠান ও মানুষের চুক্তি না হওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
জনসন জানান, উভয়পক্ষের আলোচনা যা হয়েছে তাতে এখনও চুক্তি হওয়ার মতো কোনও অবস্থানে যাওয়া যায়নি।
৩১ ডিসেম্বর থেকে ইইউ’র বাণিজ্যনীতি মেনে চলা বন্ধ করবে যুক্তরাজ্য। ফলে একটি কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছার সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুল ফন ডেয়ার লাইয়েনের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে তাদের আলোচনার বড় কোনও অগ্রগতি ঘটেনি।
প্রকাশ্যে দুই পক্ষই যে যার অবস্থানে অটল রয়েছে। ফন ডেয়ার লাইয়েন সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। জনসন চুক্তির জন্য চেষ্টায় কোনও ত্রুটি না রাখার উপর জোর দিয়েছেন। তবে একাধিক ইইউ নেতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে ইইউ ত্যাগ করার পরেও সদস্য থাকার সুবিধা পেতে হলে ব্রিটেনকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।
বুধবার সকালে বরিস জনসন বলেছিলেন, যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ইইউ-র চাপে ব্রিটেনের সার্বভৌমত্ব ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। একমাত্র ইইউ সেই দাবি ত্যাগ করলে ভালো চুক্তি হওয়া সম্ভব৷
একই দিনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষে ভাষণে তিনি বলেন, ব্রিটেনের স্বার্থে ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজারের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হবে না। ৪৫ কোটি ক্রেতা ও গ্রাহকের এই বাজারের নাগাল পেতে হলে ইইউ-র শ্রম, সামাজিক ও পরিবেশগত মানদণ্ড মেনে চলতে হবে।