মো: রেজাউল করিম মৃধা: বিশ্বের সবাইকে পিছনে ফেলে ফাইজার বায়োনটিক, কভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিস্কার করে।প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন প্রয়োগ শুরু করে গত মংগলবার কিন্তু দুই করোনা রোগীর এলার্জিক উপসর্গে আক্রান্ত হলে হতাশায় সকল করোনা রোগী সহ সারা বিশ্ব।
ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন মঙ্গলবার প্রয়োগ শুরু করে ইতিহাস গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ।এক দেশ তৈরী করেছে অপর দেশ ব্যাবহার শুরু করেছে।ভ্যাকসিন প্রদান শুরুর একদিন পর যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি সতর্কতা জারি করেছে।
এই সতর্ক বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে কারা টিকা গ্রহণ করতে পারবেন না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) দুই কর্মী মঙ্গলবার ভ্যাকসিন গ্রহণের তাদের শরীরে অ্যালার্জিজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার পর এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাদের গুরুতর বা উল্লেখযোগ্য অ্যালার্জি রয়েছে তাদের ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত হবে না।
মঙ্গলবার টিকা নেওয়ার পর দুই কর্মীর ‘অ্যানাফাইল্যাকটোয়েড রিঅ্যাকশন’- এর লক্ষণ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাদের অ্যালার্জির ইতিহাস রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টিকা কর্মসূচির শুরুর দিনে কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে এনএইচএস-এর দুই কর্মীও ফাইজারের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন।
গত সপ্তাহে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন কেয়ার হোম কর্মী, হাসপাতালের রোগী, এনএইচএস স্টাফ ও বয়স্করা।
ব্রিটেনের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) সতর্কতামূলক উপদেশ দিয়েছে এনএইচএসকে। বলা হয়েছে, যাদের ওষুধ, খাবার বা টিকায় অ্যালার্জি জনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ইতিহাস রয়েছে, তাদের এই ভ্যাকসিন না দেওয়ার জন্য।
এনএইচএস ইংল্যান্ড জানিয়েছে, সব টিকাকেন্দ্রে এই নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে ফাইজারের ভ্যাকসিন নিতে আসা সবাইকে অ্যালার্জিজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে।
ফাইজার কভিড-১৯ ভ্যাকসিনে এলার্জিক উপসর্গ পাওয়া হতাশা হয়ে পরেছে বিশ্ব সেই সাথে আশার আলোর চেয়ে হতাশায় এখন বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে।
খুব শীগ্রহই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাজার আসছে এবং গবেষকরা আশা করছেন সেটা হবে এলার্জি মুক্ত এবং সহজ লভ্য। সব আবহাওয়া সব দেশের মানুষের জন্য।এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এর মধ্যে নিজেদের আবিস্কৃত ভ্যাকসিন দিয়ে রোগীদের সুস্থ্য করার চেস্টা করে যাচ্ছেন। তবে সহসাই ভ্যাকসিন সারা বিশ্বে পাওয়া যাবে। হেরে যাবে করোনা । রোগ থেকে সুস্থ্য হবে,বেঁচে যাবে পৃথিবীর মানুষ
সেই দিনের অপেক্ষায় অপেক্ষমান সারা বিশ্ব।