Memoir of a British-trained Bangladeshi
(A true story of overcoming prejudice and finding love)
By SUHAIL AZIZ
Published by The Book Guild Ltd.
একাধারে সরকারী, আধা সরকারী, পাবলিক বডিস ও প্রসিদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ একজন প্রবাসী বাংলাদেশী তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে বৃটেনের পেশাধারী অঙ্গনে সোহেল আজিজের মত ব্যক্তিত্ব বোধ করি বিরল। উনার লেখা সদ্য প্রকাশিত ইজঊঅকঞঐজঙটএঐ বইটি হাতে পেয়ে উপসংহার ও অনেকগুলো স্মৃতিচারণ ফটোসহ ২৯৫ পৃষ্ঠার বইটি পড়ে উৎসাহিত হয়ে এই রিভিউটি লিখছি। জানতাম, তিনি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও গ্রেট বৃটেনে উনার কর্ম জীবনের উত্থান পতনের স্মৃতিকথা লিখতে যাচ্ছেন।
প্রথম জীবনের আত্মকাহিনী, পরিচিতি, পরিবারবর্গ, পাঠ্যজীবনের স্মৃতিকথা লেখার পর, পাকিস্তান নেভীতে ক্যাডেট হয়ে এবং পরে বৃটেনের নেভেল ট্রেনিং কলেজ, ডারটমাউথ, ইংল্যান্ডে যোগ দেয়া, ১৯৫৮ সালে সাব-ল্যাফটেনেন্ট হিসেবে কমিশন পাওয়া এবং ১৯৬৮ সালে রয়েল এয়ার ফোর্সে ফ্লাইং অফিসারের দায়িত্ব থেকে শুরু হয় উনার আসল কর্ম জীবন। আরও অধ্যয়ন, ট্রেনিং, প্রশংসাভাজনদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে লেখকের উচ্চাভিলাষের দরজা খুলতে থাকে এবং তিনি উন্নতি ও প্রসিদ্ধির পথে এগুতে থাকেন। উচ্চতরো পেশা জীবনে নানা সমস্যা ও প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে পথ চলার কথা পড়ে পাঠকমাত্রই অবাক হতে বাধ্য। ঘাটে ঘাটে সাদা কালো ও জাতিগত বৈষম্যের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সিভিল সার্ভিসের উচ্চস্তরে উঠার এ এক বিরল কাহিনী।
পাকিস্তানের চাকুরী জীবনেও লেখক বৈষম্যের পীড়ণে কষ্ট পেয়েছেন, চাকুরী হারিয়েছেন। উনাকে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ইংরেজ মহিলাকে লুকিয়ে বিয়ে করতে হয়েছে। বৃটেনে সরকারী ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানেও তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ও মনে কষ্ট পেয়েছেন। তবুও তিনি দমেননি, শত বাধা বিপত্তি ও পক্ষপাতদুষ্ট পরিবেশ কাটিয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে গেছেন। রেইস রিলেশনের মেম্বার হয়েও উনাকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। appendix 1 & 2 প্রশংসাপত্র এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।
সোহেল আজিজ উনার চাকুরী জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: মেম্বার, এডভাইজারি কাউন্সিল অব ইমিগ্রেশন এন্ড রেইস রিলেশন, কমিশনার, কমনওয়েলথ স্কলারলশীপ কমিশন, মেম্বার, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রাইবুনেল, চেয়ারম্যান, এনএইচএস ট্রাষ্ট, চেয়ারম্যান, লন্ডন প্রবেশন বোর্ড ইত্যাদি। শেযের দিকে এক সময় উনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু ওই অংগনে তিনি সফলকাম হতে পারেননি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। অবশ্য সময়ের আবর্তে দিন পাল্টে যাচ্ছে, মানুয আরোও সচেতন হচ্ছে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মনের প্রসারতা বাড়ছে, দিনে দিনে অবস্থার উন্নতি হয়ে বৃটেনে বর্ণবাদী টেনশন একদিন দূর হয়ে যাবে আশা করি।
একজন ইংরেজ মেয়ে ও বাংলাদেশি ছেলের জীবনের প্রথম ভালবাসা বিকশিত হয়ে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ যুগের দাম্পত্য বাস এ যেন এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও বৃটিশ সমাজে সব স্তরে উপেক্ষা ও কটাক্ষকে পাশ কাটিয়ে এনা ও সোহেল অমর এক ভালবাসা স্থাপন করেছেন। এনা করাচীর ছোট্ট একটি শেয়ারড ফ্লাটে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন এবং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভিন্ন পরিবেশ, সংস্কৃতি, রীতিনীতির ভেতর দিয়ে কষ্ট করে সংসার ধর্ম পালন করে গেছেন। সব সময় দুজনে একসাথে একসময় থেকেছেন। নিঃস্ব হয়ে একসময় ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। এলেন কি এর উদ্ধৃতি সত্য প্রমাণ করেছেন। ‘Marriage is a immoral without love’. আজ এনা নেই, সোহেল ভাই কাঁদেন। আমরা যারা তাদেরকে চিনি, অতীতের স্মৃতি মনে পড়লে চোখ ভিজে উঠে। সবার কাছে অনুরোধ রইলো বইটি পড়বেন, ভাল লাগলে অন্যকে পড়তে অনুপ্রানিত করবেন।
পাকিস্তানের চাকুরী জীবনেও লেখক বৈষম্যের পীড়ণে কষ্ট পেয়েছেন, চাকুরী হারিয়েছেন। উনাকে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ইংরেজ মহিলাকে লুকিয়ে বিয়ে করতে হয়েছে। বৃটেনে সরকারী ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানেও তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ও মনে কষ্ট পেয়েছেন। তবুও তিনি দমেননি, শত বাধা বিপত্তি ও পক্ষপাতদুষ্ট পরিবেশ কাটিয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে গেছেন। রেইস রিলেশনের মেম্বার হয়েও উনাকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। appendix 1 & 2 প্রশংসাপত্র এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।
সোহেল আজিজ উনার চাকুরী জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: মেম্বার, এডভাইজারি কাউন্সিল অব ইমিগ্রেশন এন্ড রেইস রিলেশন, কমিশনার, কমনওয়েলথ স্কলারলশীপ কমিশন, মেম্বার, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রাইবুনেল, চেয়ারম্যান, এনএইচএস ট্রাষ্ট, চেয়ারম্যান, লন্ডন প্রবেশন বোর্ড ইত্যাদি। শেযের দিকে এক সময় উনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু ওই অংগনে তিনি সফলকাম হতে পারেননি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। অবশ্য সময়ের আবর্তে দিন পাল্টে যাচ্ছে, মানুয আরোও সচেতন হচ্ছে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মনের প্রসারতা বাড়ছে, দিনে দিনে অবস্থার উন্নতি হয়ে বৃটেনে বর্ণবাদী টেনশন একদিন দূর হয়ে যাবে আশা করি।
একজন ইংরেজ মেয়ে ও বাংলাদেশি ছেলের জীবনের প্রথম ভালবাসা বিকশিত হয়ে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ যুগের দাম্পত্য বাস এ যেন এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও বৃটিশ সমাজে সব স্তরে উপেক্ষা ও কটাক্ষকে পাশ কাটিয়ে এনা ও সোহেল অমর এক ভালবাসা স্থাপন করেছেন। এনা করাচীর ছোট্ট একটি শেয়ারড ফ্লাটে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন এবং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভিন্ন পরিবেশ, সংস্কৃতি, রীতিনীতির ভেতর দিয়ে কষ্ট করে সংসার ধর্ম পালন করে গেছেন। সব সময় দুজনে একসাথে একসময় থেকেছেন। নিঃস্ব হয়ে একসময় ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। এলেন কি এর উদ্ধৃতি সত্য প্রমাণ করেছেন। ‘Marriage is a immoral without love’. আজ এনা নেই, সোহেল ভাই কাঁদেন। আমরা যারা তাদেরকে চিনি, অতীতের স্মৃতি মনে পড়লে চোখ ভিজে উঠে। সবার কাছে অনুরোধ রইলো বইটি পড়বেন, ভাল লাগলে অন্যকে পড়তে অনুপ্রানিত করবেন।