যৌথ ট্রায়ালে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাকসিন। করোনাভাইরাসের আলোচিত এই দুই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে একযোগে কাজ করবেন উভয় দেশের বিজ্ঞানীরা। মূলত উভয় ভ্যাকসিনের মিশ্রণে করোনার বিরুদ্ধে আরও কার্যকরী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব কিনা সেটি পর্যালোচনার জন্যই এই যৌথ ট্রায়ালের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দুই ভ্যাকসিনের মধ্যে মিল হচ্ছে উভয়টিতেই করোনার জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ এর জেনেটিক উপাদান রয়েছে। চূড়ান্ত ট্রায়ালের আগেই স্পুটনিক ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েছিল রাশিয়া। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন।
বিবিসি-র প্রতিবেদনে বলা হয়, খুব শিগগিরই রাশিয়ায় এ দুই ভ্যাকসিনের যৌথ ট্রায়াল সম্পন্ন হবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সের স্বেচ্ছাসেবীরা এতে অংশ নেবেন। যদিও ঠিক কত সংখ্যক ব্যক্তি এতে অংশ নেবেন সেটি পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে জানিয়েছে, পরীক্ষার ফল বলছে তাদের ভ্যাকসিন কার্যকর ও নিরাপদ। গবেষকরা এখন তথ্য সংগ্রহ করছেন মূলত প্রবীণদের মধ্যে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, নানা ধরনের টিকার মিশ্রণের মাধ্যমে আরও কার্যকরী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পাওয়া যায় কিনা সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
একাধিক ভ্যাকসিনের মিশ্রণে আরও শক্তিশালী ও দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপার আশাবাদের কথাও জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
নিজ দেশের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। উৎপাদকদের দাবি, পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে ভ্যাকসিনটি মানুষকে করোনা সংক্রমণ থেকে ৯৫ শতাংশ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। ভ্যাকসিনটির ৪ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যে এর প্রথম চালান দেশটিতে পৌঁছে গেছে। এখন অক্সফোর্ড ও স্পুটনিক ভ্যাকসিনের যৌথ ট্রায়াল কতটা সফল হয় সেটা সময়ই বলে দেবে।