বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গণহারে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে ব্রিটেন। আর সবার মতো ৭ লাখ ব্রিটিশ বাংলাদেশির বেশিরভাগই মনে করছে, ভ্যাকসিন মৃত্যুর মিছিল রুখে দেবে, বিদায় নেবে মহামারি। অর্থনীতির অচলায়তনই কেটে যাবে। তবে কিছু প্রশ্ন আর সন্দেহও রয়েছে তাদের একাংশের মধ্যে। টিকাটি আদৌ কার্যকর হবে কিনা, এতে ব্যবহৃত উপাদান ইসলামসম্মত কিনা, ঠিক কবে নাগাদ তাদের কাছে পৌঁছাবে এমন কিছু জিজ্ঞাসা রয়েছে তাদের। কমিউনিটির একজন ইমাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, জীবনশঙ্কায় যে কোনও ওষুধ ব্যবহার করা যায়। আর সেখানকার নেতৃস্থানীয়রা বলছেন, টিকা নিয়ে সমস্ত বিভ্রান্তির অবসান ঘটানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োইনটেক-এর তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন গণহারে প্রয়োগের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। এরপর থেকেই ভ্যাকসিনটি নিয়ে আলোচনা চলছে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। ব্রিটেনের চ্যারিটি সংস্থা ইস্ট হ্যান্ডসের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নবাব উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পূর্ব লন্ডনের শ্যাডওয়েলে তাদের সংস্থার ফুড ব্যাংকে স্বেচ্ছাসেবকেরা প্রতিদিনই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। ভ্যাকসিনে কোন উপাদান ব্যবহার হয়েছে, হারাম কোনও কিছু আছে কিনা তা জানতে চাইছেন কেউ কেউ। ট্রায়ালে কোনও বাংলাদেশি অংশ নিয়েছিলেন কিনা তাও জানতে চাইছেন তারা।