বগুড়ার শেরপুরে টহল পুলিশের ওপর হামলা মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদ আলী শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকার মৃত নান্টু মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর টাউন ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিছুর রহমান সর্ঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বুধবার রাতে শহরে টহল দিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা ব্যক্তিদের ধরতেও চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তারা।
একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন মাদক ও চুরি-ছিনতাই মামলার পলাতক আসামি মোহাম্মদ আলী নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ খবর পেয়েই টহল পুলিশের দলটি তাকে ধরতে তার বাড়িতে হানা দেয়।
বিষয়টি বুঝতে পেরে মাদক ব্যবসায়ী ও তার স্বজনরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এমনকি তাদের বেধড়ক মারপিটে পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলামের মাথা ফেটে যায়। এছাড়া পুলিশের এএসআই আনিছুর রহমানও আহত হয়েছে।
পরে এই ঘটনার খবর পেয়ে শেরপুর থানার পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পাশাপাশি ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
আহত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিছুর রহমান ও পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম বর্তমানে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা-মারপিটের অভিযোগ এনে শেরপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ৮-৯ জন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে উত্তর সাহাপাড়া এলাকার মৃত নান্টু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে গতকাল সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার অভিযুক্ত অন্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।