মো: রেজাউল করিম মৃধা: পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাস রোগীর সংখ্যা এই রোগ থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র পথ হচ্ছে ঘরে থাকা। নিরাপদে থাকা। অন্যের সংস্পর্শে না যাওয়া। এবং সরকারী বিধিনিষেধ গুলি মেনে চলা।
কিন্তু বড়দিনকে সামনে রেখে শপিং সেন্টারসহ সর্বত্র মানুষের উপচে পড়া ভীড়, টানা বৃষ্টিজনিত জ্বরের কারণে দ্রুত বাড়তে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। হাসপাতালগুলোর বেড করোনা রোগীদের উপচেপড়া ভীড়ে প্রায় পুর্ণ হয়ে গেছে। বহু হাসপাতাল এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে, আগামীকাল রবিবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে লন্ডন, সাউথ ইস্ট ও ইস্ট অব ইংল্যান্ডে এই লকডাউন কার্যকর হবে। এসব এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। লকডাউন এলাকার বাসিন্দাদের সরকারের পক্ষ থেকে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। টিয়ার ফোর এলাকাগুলোতে ভ্রমণ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম, সেভাবে এবার বড়দিন উদযাপন করতে পারব না।’
গত এক সপ্তাহে ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতির আরও একদফা বড় ধরনের অবনতি হয়েছে। এরই মধ্যে দেশটিতে করোনাভাইরাসের ভিন্ন উপসর্গবাহী নতুন ধরণ শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার ব্রিটেনে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের শনাক্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৫০৭ থাকলেও শনিবার কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৫২ জনে।
লন্ডনে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। সরকার কর্তৃক টিয়ার ৪ ঘোষনা ও সতর্কতা জারী করছে। আমরা সবাই সরকারের নিয়ম নেমে চলি।
আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন। আমিন।