সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে ‘বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র ডাকা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে।
বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সোমবার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বৈঠকে সমাধান না আসায় সিলেট বিভাগে তিন দিনের এ ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবেন পাথর সংশ্লিষ্ট সব শ্রমিক।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল জানান, জেলা প্রশাসনের বৈঠকে আমরা বরাবরের মতো আমাদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরেছিলাম। পরিবেশ বিধ্বংসী বোমা মেশিন নয়, শ্রমিকদের মাধ্যমে আমরা পাথর উত্তোলন করতে চাই জানালেও বৈঠকে কোনও সমাধান আসেনি। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের মতামত বা দাবিকে গুরুত্ব দেননি। তাই আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি। টানা তিন দিন পুরো সিলেট বিভাগে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশ যাত্রী, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্র ও জরুরি ওষুধ বহনকারী গাড়ি ধর্মঘটের আওতায় থাকবে না।
সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, বাস মালিক সমিতি পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে নেই। তবে বাসের শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে পরিবহন ধর্মঘট চালানো হচ্ছে। শ্রমিকরা না থাকলে আমরাতো বাস চালাতে পারি না।
তিনি জানান, সিলেট থেকে কোনও দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি ও প্রবেশ করেনি।
উল্লেখ্য, সিএনজি অটোরিকশা ও পাথর সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের পৃথকভাবে ডাকা টানা চার দিনের ধর্মঘটের প্রথম দিন ছিল সোমবার (২১ ডিসেম্বর)। তাদের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর)। এরই মাঝে শুরু হলো ৭২ ঘণ্টার সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘট।