যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইউরোপে ফ্রান্সের পর সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড এবং এশিয়ায় জাপানে নতুন বৈশিষ্ট্যের এ করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সুইডেনে এক ব্যক্তির দেহে এই নতুন ধরনের ভাইরাস পাওয়া গেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত অন্তত তিনজন রোগী পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে সুইজারল্যান্ড। তাদের দুজন ব্রিটিশ নাগরিক।
সুইজারল্যান্ড তাদের স্কি রিসোর্টগুলো খোলা রেখেছে এবং গত দুই সপ্তাহে সেখানে হাজার হাজার পর্যটক হাজির হয়েছে।
শুক্রবার জাপানের কর্তৃপক্ষ জানায়, যুক্তরাজ্য থেকে বিমানে করে জাপানে যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির দেহে করোনাইরাসের নতুন ভ্যরিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে করোনাভাইরাসের এই নতুন এবং অত্যন্ত সংক্রামক স্ট্রেইনটি ছড়িয়ে পড়ে। এটি আগের ভাইরাসের চেয়ে আরও বেশি সহজে এবং দ্রুত গতিতে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এর ফলে আগামী বছর এতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার আরও বেড়ে যাতে পারে। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যাও।
সমীক্ষাটি চালিয়েছে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন-এর সেন্টার ফর ম্যাথমেটিক্যাল মডেল অব ইনফেকশাস ডিজিজ। এতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় নতুন এই স্ট্রেইনটি ৫৬ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য।
১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যাল্যান্স বলেছেন, ভাইরাসটির প্রায় দুই ডজন মিউটেশন রয়েছে যা প্রোটিনকে প্রভাবিত করতে পারে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভাইরাসটির নতুন এই স্ট্রেইন সদ্য অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। তবে ইউরোপের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, নতুন স্ট্রেইনটির ফলে হয়তো ফাইজার ও বায়োএনটেক-এর টিকার কার্যকারিতায় খুব বেশি হেরফের হবে না।
নতুন রূপে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলাকেই মূলত দায়ী করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি, ব্লুমবার্গ।