মো: রেজাউল করিম মৃধা: সময়ের সাথে সব কিছু পাল্টায়। পরিস্থিতি মানুষ পরিবর্তন হতে বাধ্য করে।কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের অনেক চিরাচরিত নিয়মকে পরিবর্তনে বাধ্য করেছে। ধর্মীয়, সামাজিক,রাজনৈতিক এবং ব্যাবসায়ী নিয়মনীতির হয়েছে আমল পরিবর্তন।
বক্সিং ডে ব্রিটেনের কাস্টমারদের জন্য ছিলো এক মহা উৎসবের দিন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারনে সেই উৎসবের দিন চলে গেছে অন লাইনে। ঘরে বসে অনলাইনে দিয়ে পছন্দের পোষাক কিনছেন অনেকেই।
বিশেষ করে M&S, John Lewis,Amazon and more মেইন স্টিম কম্পানীর কাপড় প্রতিবছর বক্সিং ডে উপলক্ষে বিশেষ সেইল বা কম দামে ছাড় দিয়ে থাকে। দামী কম্পানীর কুয়ালিটি কাপড় কিন্তে মিলিয়ন মিলিয়ন কাস্টমার এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারনে বড় ধরনের গেদারিং ঠেকাতে এই সব কম্পানীর শপ বা দোকান গুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। যার ফলে কাস্টমাররা তাদের পছন্দের পোষাক কেনা থেকে বন্চিত হচ্ছেন এবং অপর দিকে কম্পানী বা শপ গুলি তাদের বিলিয়ন পাউন্ড বিক্রী থেকেও বন্চিত হচ্ছে।
আইসল্যান্ড , হোম বারগেইন সহ অনেক সুপার মার্কেট গুলি ২৬শে ডিসেম্বর বক্সিং ডে তাদের শ্রমিকদের ছুটি দিয়েছে। অথচ পূর্বের বছর গুলি এই দিনে তাদের শ্রমিক ছুটি দেওয়াতো দূরের কথা অভার টাইমস করতে হতো কাঁটাতে হতো ব্যাস্ত সময়।
Argos খোলা রয়েছে, খোলা রয়েছে অনেক সুপার মার্কেট তবে সেখানে পোষাক বা কাপড়ের বিশাল সমাহার না থাকায় বক্সিং ডের তেমন প্রভাব নেই।বাংলাদেশী মালিকানাধীন মার্কেট গুলি খোলা রয়েছে। সেখানে বিশেষ প্রভাব নেই। কেননা বক্সিং ডে উপলক্ষে নেই বিশেষ ছাড়রের ব্যাবস্থা।
মেইনস্টিমের শপ গুলিতে বক্সিং ডে উপলক্ষে যেমন থাকে বিশেষ ছাড় বা সেইল। শতকরা ৩০%, ৪০%,৫০% এমনকি৮০% পর্যন্ত সেইল বা ছাড় দেওয়া থাকে।তেমনি থাকে কাস্টমারদের উপচে পরা ভীড়।সেই ভীড় না থাকলেও অনলাইনে অনেক কাস্টমার তাদের পছন্দের পোষাকটি অর্ডার দিয়েছেন কিন্তু ভীড় ঠেঁলে আগের দিন অথবা ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজে হাতে পোষাক কেনার মজা বা তৃপ্তি থেকে বন্চিত হচ্ছেন মিলিয়ন মিলিয়ন কাস্টমার।
সূত্র:- দি সান।