
মা হওয়া নারীর জীবনের অন্যতম একটি সুন্দর অধ্যায়। সেই খবরটা এত দিন প্রকাশ করতে না চেয়ে এই সময়ে প্রকাশ করার পেছনে কারণ কী, জানতে চাইলে তিশা বলেন, ‘মা হওয়া এবং সন্তানের বিষয়টা একেবারেই পার্সোনাল বিষয়। এই কারণেই বিষয়টা পার্সোনাল রাখতে চেয়েছি। এটা স্পর্শকাতর বিষয় বলেও মনে করছি। মনে হয়েছে একটা নির্দিষ্ট সময়েই এটা জানাব। আমার কাছে মনে হয়েছে এখনই সেই সময়। আমার দর্শক, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা যাঁরা আমাকে ভালোবাসেন, তাঁরা এই সুখবরটি শুনলে আমার জন্য দোয়া করবেন। সবকিছু মিলেই এখন জানানো।’

মা হওয়ার আগের এই সময়টা অসাধারণ কাটছে এবং এটা তাঁদের জীবনের নতুন একটা অধ্যায় উল্লেখ করে তিশা বলেন, ‘নতুন পরিচয়ে পরিচিত হতে যাচ্ছি। এক জীবনে কত নাটকে মা সেজেছি, এখন বাস্তব জীবনে তা ফিল করছি। পুরো জার্নিটা আসলে ভাষায় বিশ্লেষণ করতে পারব না। এটা এমন একটা জার্নি, এককথায় ওয়ান্ডারফুল। নতুন পরিচয় আসছে আমার জীবনে। যে পরিচয়টা আমি বেশ এনজয় করছি।’
তিশা এ–ও বলেন, ‘আমি একজনের ছেলের বউ, একজনের মেয়ে, একজনের ভাবি, ফুফু, মামি, চাচি, অভিনয়শিল্পী, মডেল এবং সিঙ্গারসহ অনেক অনেক পরিচয়। এবার মা হতে যাচ্ছি, আমার জীবনের নতুন একটা অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে।’

ভালোবেসে ২০১০ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একদিন সাহস করে তিশার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। এরপর বিয়ে।