মো: রেজাউল করিম মৃধা: ইংল্যান্ডে চিলড্রেন সোসাল কেয়ার সিস্টেম এখনোও পড়ে আছে সেই আগের জমানায়। নেই কোন আধুনিকতার কোন ছোঁয়া। বাবা মা থেকে বিছিন্ন,দূর্বল, অসুস্থ্য, ভালনারাবল, ডিজেবল শিশুদের অপরাধী এবং ভিন্ন বয়সী সবাইকে একই স্থানে রাখার কারনে। সুস্থ্য না হয়ে অনেকে হয়ে উঠেছেন অসুস্থ্য এবং অপরাধীরা হয়ে উঠছে আরো ভয়ংকর।
সাবেক চিলড্রেন কিমিশনার অ্যানি লংফিল্ড বলেন,” চিলড্রেন সোসাল কেয়ার সিস্টেম অপরাধী তৈরী করছে।সব বয়সীদের এক সাথে রাখা হয়। সভাবত কারনে যারা ক্রিমিনাল তারা অন্যকে মারধর করে দূর্বলদের খাবার কেড়ে নেয়, এবিউজ করতে সাহস পায়।পর্যাপ্ত পুলিশ বা সিকিউকিটি না থাকায় অপরাধীদের মাত্রা আরো বেডে যাচ্ছে ব্লাক টিনেজাররা সোসাল কেয়ারে বসেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে আর চিন্ডেন সোসাল কেয়ার থেকে বের হয়ে মানুষ হত্যা সহ বিভিন্ন বড় ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়,”।
বাবা মার সাথে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হলে সোসাল কেয়ারের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনে যতটা তৎপর হন। কিন্তু সোসাল কেয়ারে নেওয়ার পর তাদের সেই দায়িত্ব কোথায় থেকে? তাদের জন্যই অনেক সুস্থ্য শিশুরাও হয়ে উঠে অসুস্থ্য এবং অনেকে হয়ে উঠে বড় অপরাধী। চিলড্রেন সোসাল কেয়ার সিস্টেম কোন ভাবেই ফিট হচ্ছে না যার ফলে অপরাধীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
১৬ থেকে ১৭ বছরের শিশুরাই এই অপরাধের সাথে বেশী জরিত।২০২১ সালের মার্চ মাসে এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ইংল্যান্ডের চিলড্রেন কেয়ার হোমে ৮০,৮৫০ জন চিলড্রেন রয়েছে। পরবর্তি সময়ে শতকরা ১% বৃদ্ধি পেয়েছে।এর মধ্যে অধিকাংশই কালো বর্নের শিশুরা।
দি ইন্টুডাকশন অফ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড্স এ্যান্ড নিউ অভার সাইড ফর্ম এয়াচিং অফস্টেইড ফর সাপোর্ট একেমেন্ডেশন £২৫৯ মিলিয়ন পাউন্ডের সাপোর্ট দিয়েছে কিন্তু এই সাপোর্ট প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
অথচ সরকার £৪৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে শুধু এউয়ারনেস প্রগ্রামে কিন্ত চিলড্রেন সোসাল কেয়ারে যারা আছেন তাদের জন্য কোন সুব্যাবস্থা নেই বললেই চলে।
দি ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের মতে ,”অতিদ্রুত পুরাতন সিস্টেম পরিবর্তন করে এই সব শিশুদের শিক্ষার ব্যাবস্থা করতে হবে তা না হলে এই সকল শিশুরা শিক্ষা থেকে বন্চিত হবে,”।