সুনামগঞ্জের ছাতকে নাতির ছুরিকাঘাতে দাদি তাসলিমা বেগম (৬৭) খুনের ঘটনায় মা-ছেলেকে গ্রেফতারের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রানী বেগম (৪০) ও তার ছেলে রিয়াজুল ইসলাম হৃদয় (২০)কে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। নিহত তাসলিমা বেগম উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাহন গ্রামের মৃত চান্দ আলীর স্ত্রী। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামী রানী বেগম বারকাহন গ্রামের বোরহান উদ্দিনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী।
বোরহান উদ্দিন তার মা’কে হত্যার অভিযোগে গত বুধবার রাতে তারই বড় ছেলে হৃদয়কে ১নং আসামী এবং তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রানী বেগমকে ২নং আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামের বুরহান উদ্দিনের ছেলে হৃদয় তার দাদি তাসলিমা বেগমকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। স্থানীয়রা আহত ওই বৃদ্ধাকে প্রথমে ছাতক উপজেলা সদর হাসপাতালে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর একই দিন সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, থানার উপ-পরিদর্শক আতিকুল আলম খন্দকার বলেন, এ হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা ধারালো ছুরি বাড়ীর পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরেই তাসলিমা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।