গত ১০ ডিসেম্বর দেশে প্রথম অমিক্রন শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম অমিক্রনে সংক্রমিত হন জিম্বাবুয়েফেরত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্য। তাঁরা ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দেশে করোনার সংক্রমণ এখন আবারও ঊর্ধ্বমুখী। করোনায় মৃত্যু, নতুন রোগী ও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার—সবই বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে নতুন রোগী বেড়েছে ১১৫ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
সংক্রমণের এই বৃদ্ধি করোনার নতুন ধরনের কারণে, নাকি অন্য কারণ আছে—তা এখনো স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না।
তবে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, সংক্রমণ আরও বাড়বে।
অমিক্রন সারা বিশ্বে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার আর কোনো ধরনকে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি।
করোনার নতুন ধরন অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় ইউরোপের দেশগুলোর পরিস্থিতি আবার খারাপ আকার ধারণ করেছে। প্রতিবেশী ভারতেও সংক্রমণ বাড়ছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, দেশে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব বেশিসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে জিন বিশ্লেষণ হয় কম। ৫০০ শনাক্ত রোগীর মধ্যে মাত্র ১ জনের নমুনার জিন বিশ্লেষণ করা হয়। এত কমসংখ্যক নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোন ধরন, কী পরিমাণে ছড়াচ্ছে, তা বলা মুশকিল।
সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সরকার বলছে, দেশের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনার টিকা দিতে হবে। টিকা গ্রহণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক আদেশে এ কথা বলেছে।