দিরাইয়ের বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার সহোদর নবীগঞ্জ উপজেলার বড়ভাকৈর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রঙ্গলাল দাসকে পর্ণোগ্রাফী মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর বদরুল আলম তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার দিরাই উপজেলার সাবেক এক নারী ইউপি সদস্যের সঙ্গে অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ওই নারীর সঙ্গে সিলেট শিববাড়ী মন্দিরে গিয়ে পুরোহিতের মাধ্যমে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন পর ওই নারী সংসারে তুলে নিতে অধ্যক্ষকে চাপ দিলে দু’জনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে নৃপেন্দ্র ওই নারীকে তার সংসারে তুলে নিতে অস্বীকার এবং হুমকি ধমকি প্রদান করেন। এছাড়া, বিয়ের পর ওই নারীর কিছু নগ্ন ছবি তুলে রাখেন অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র। এক পর্যায়ে তিনি ব্যক্তিগত একাউন্টের মাধ্যমে নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেন। এমনকি অধ্যক্ষের ভাই নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রঙ্গলাল দাস ওই নারীর ছবি এডিট করে অন্য পুরুষের সাথে যুক্ত করে ফেসবুকে ছাড়েন।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর সুনামগঞ্জ আদালতে অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও রঙ্গলাল দাসের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে তারা জামিন নেন। গতকাল সোমবার সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুম আলম পর্ণোগ্রাফি মামলায় দুই সহোদরকে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।