দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে রোগী বাড়তে শুরু করে। ৬ জানুয়ারি দৈনিক রোগী শনাক্ত হাজার ছাড়ায়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১০ হাজারের ওপরে ছিল।
শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষেরই মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। তবে বয়স্ক ও হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বেশি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার।
এরপর দুই বছর ধরে চলা এই মহামারির সংক্রমণচিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা দেখা গেছে। এর মধ্যে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ আকার ধারণ করেছিল গত বছরের জুন-জুলাইয়ে, করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটের সময়। গত বছরের আগস্টে সংক্রমণ কমতে শুরু করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিদায়ী বছরের শেষ দিকে আবার সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। চলতি মাসের মাঝামাঝি পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করে।