বরফের তৈরি গোলাকার ছোট ছোট ঘর। সেসব ঘরের ভেতরে জ্বলছে নিবু নিবু আলো। সেখানে বরফ দিয়েই তৈরি করা হয়েছে বসার চেয়ার-টেবিল। আর সেখানে বসে আড্ডার সঙ্গে পছন্দের খাবার খাচ্ছেন পর্যটকরা। বরফ কেটে তৈরি করা এ ঘরগুলোকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইগলু ক্যাফে।
ইগলু ক্যাফেটি গড়ে তোলা হয়েছে কাশ্মীরের গুলমার্গে। কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গুলমার্গকে বলা হয় ‘বরফের রানি’। প্রতিদিন সেখানে অসংখ্য পর্যটক ভিড় করছেন। এতে ভূস্বর্গ কাশ্মীরের আকর্ষণ আরও বেড়েছে। খবর এনডিটিভির।
ক্যাফেটির নির্মাতা সৈয়দ ওয়াসিম শাহ। তার দাবি, বরফের তৈরি ৩৭ দশমিক ৫ ফুট উঁচু ও ৪৪ দশমিক ৫ ফুট ব্যাসের এ ক্যাফে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইগলু ক্যাফে।
তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমি সুইজারল্যান্ডে গিয়ে প্রথম বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পাই। সেখানে কিছু বরফের তৈরি হোটেল আছে। সেগুলোতে ঘুমানোর বন্দোবস্তও রয়েছে। তখনই ভাবি, গুলমার্গেও তো অনেক বরফ পড়ে, তাহলে গুলমার্গেও এমন কিছু করা যায়।’
ক্যাফের মালিক সৈয়দ ওয়াসিম শাহ জানান, গত বছর তিনি একটি ইগলু ক্যাফে তৈরি করেছিলেন এবং সেটি ছিল এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় ইগলু ক্যাফে। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ইগলু ক্যাফে বানিয়েছি। ক্যাফেটির উচ্চতা সাড়ে ৩৭ ফুট ও ব্যাস সাড়ে ৪৪ ফুট।’
সৈয়দ ওয়াসিম শাহ জানান, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতে, সুইজারল্যান্ডের ৩৩ দশমিক ৮ ফুট উঁচু ও ৪২ দশমিক ৪ ফুট ব্যাসের একটি ক্যাফে সর্ববৃহৎ ইগলু ক্যাফে। তার দাবি, কাশ্মীরের গুলমার্গে তার তৈরি ইগলু ক্যাফেটি সুইজারল্যান্ডের ওই ইগলু ক্যাফের চেয়ে বড়।
তিনি বলেন, গত বছর তার ক্যাফেতে টেবিল ছিল চারটি। একসঙ্গে ১৬ জন খেতে পারতেন। কিন্তু এ বছর সেখানে মোট ১০টি টেবিল বসানো হয়েছে। ক্যাফেটি একটি সিঁড়ি দিয়ে দুই ধাপে তৈরি করা হয়েছে। ক্যাফেতে বসে এখন একসঙ্গে ৪০ জন খেতে পারবেন। ক্যাফেটির পুরো কাজ সম্পন্ন করতে ২৫ জনের ৬৪ দিন লেগেছে।
ওয়াসিম শাহ বলেন, ‘ক্যাফের প্রাচীর পাঁচ ফুট পুরু। আমরা আশা করছি, এটা ১৫ মার্চ পর্যন্ত থাকবে। এরপরই আমরা এটা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেব।’
ওয়াসিম শাহের তৈরি ওই ইগলু ক্যাফে শুধু কাশ্মীরে যাওয়া পর্যটকেরাই নন, স্থানীয় মানুষদের জন্যও অন্যতম আকর্ষণীয় একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।