আপিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিপুণ জানান, যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে কারচুপির আশঙ্কা করছেন তিনি। ভোটের হিসাবেও গড়মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘কার্যকরী পরিষদে ১০টি ও সম্পাদকীয় পরিষদে ২৬টি ব্যালট বাতিল হয়েছে। ভোট গণনায় কিন্তু দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এরপরও যদি কেউ ভোটের ফলাফলে অসন্তোষ ও সন্দেহ প্রকাশ করেন, তাহলে অবশ্যই আপিল করতে পারেন। আপিল কমিটির সদস্যরা যাছাই–বাছাই করে তাঁদের মতামত জানাবেন।
ভোট বাতিলের নিয়মটা কী, এমন প্রশ্নে পীরজাদা হারুন, ‘যেখানে ১০ জনকে ভোট দেওয়ার কথা, সেখানে যদি ৯ নয়জনকে দেওয়া হয়, তখন সেটা বাতিল বলে গণ্য হয়।’ এটা কি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম, এমন প্রশ্নে তিনি বললেন, ‘এটা হয়ে আসছে। কম হলেও বাতিল, বেশি হলেও বাতিল।’
প্রার্থীদের কেউ কেউ আবার বললেন, ১০ জনকে ভোটাররা ভোট নাইবা দিতে পারেন, তাই বলে ৯ জনেরটা বাতিল কেন হবে? এটা যাঁদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরকে বঞ্চিত করাও বলছেন তাঁরা। কেউ আবার বলছেন, দরকার হয় ২৬টি ভোট আবার নিক, তারপর যিনি জিতবেন, তাঁকে নির্বাচিত করুক। এমন প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতে পীরজাদা হারুন বললেন, ‘যদি বলে ২৬টা ভোট আবার নিতে হবে, এটা কিন্তু নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। তবে কেউ যদি এমনটা বলে থাকেন, নির্বাচন অবৈধ হয়েছে, তবে আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁরা পুনরায় নির্বাচন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে আবার নির্বাচন করাতে পারেন। ২৬টা ভোট আলাদাভাবে গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই।’
গতকাল ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২০২৪ কার্যমেয়াদের নির্বাচন। পরদিন শনিবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় ইলিয়াস কাঞ্চনের, তিনি পেয়েছেন ১৯১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে জায়েদ খানের, তিনি পেয়েছেন ১৭৬ ভোট, আর নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।