টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনাকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছেন রুবেলই, আগের ম্যাচে ৮২ রানে অপরাজিত থাকা সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে। সিলেটের উইকেটে খুলনা ভুগেছে বেশ কিছুক্ষণ। সপ্তম ওভারে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে, খুলনার তখন মাত্র ৩২।
খুলনা এরপরও ১২৯ রান পর্যন্ত গেছে সাত নম্বরে নামা সিকান্দার রাজার ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে। ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসানের সঙ্গে ২৬, সপ্তম উইকেটে পেরেরার সঙ্গে ২৭ বলে ৩৯ রানের পর রুয়েল মিয়াকে নিয়ে ২৩ বলে ৩২ রান যোগ করেছেন রাজা। রাজা তাঁর ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মারেন ৪টি ছয়। ঢাকার বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি ২ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৫ রান দিয়ে। মাহমুদউল্লাহ ছাড়া উইকেটের দেখা পেয়েছেন বাকি ৫ বোলারই।
রান তাড়ায় ঢাকার নতুন উদ্বোধনী জুটি অবশ্য সফল হয়নি। ৬ রান করে নাবিল সামাদের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন তামিম ইকবাল, খুলনা সে উইকেট পেয়েছে এডিআরএস নিয়ে। ইমরানউজ্জামানও ফিরেছেন দলীয় ১২ রানেই। জহুরুল ও মাহমুদউল্লাহকে এরপর করতে হয়েছে ইনিংস পুনর্গঠনের কাজ। জহুরুল অবশ্য শুরুতে ভুগেছেন, প্রথম রানটা করেছেন নবম বলে গিয়ে, নাবিলকে ছয় মেরে।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জহুরুলের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৫৭ রান, জহুরুল ৩৫ বলে ৩০ রান করে রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হলে ভাঙে সে জুটি। শামসুরকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ এরপর যোগ করেন আরও ৩২ রান। তবে ৩৬ বলে ৩৪ রান করা ঢাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে পেরেরা ফেরান ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে। এরপর শামসুরকেও ফেরান পেরেরা। ১৯তম ওভারে খালেদ আহমেদ দেন ৪ রান, একটু আশা পায় খুলনা। তাদের সে আশা অবশ্য ২ বলেই মিলিয়ে যায় শুভাগতর ওই দুই ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১২৯/৮ (রাজা ৬৪, মেহেদী ১৭, পেরেরা ১২; আরাফাত ২/১৫, আজমতউল্লাহ ২/২৫, কাইস ১/১২)
মিনিস্টার ঢাকা: ১৯.২ ১৩১/৫ (মাহমুদউল্লাহ ৩৪, জহুরুল ৩০, শামসুর ২৫, শুভাগত ১৮; পেরেরা ২/৩৯, নাবিল ১/১০, রুয়েল ১/২১)
ফল: ঢাকা ৫ উইকেটে জয়ী