কাতার বিশ্বকাপে একের পর এক ইতিহাস গড়েই যাচ্ছে মরক্কো। এবার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে শক্তিশালী পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। যেখানে শুধু নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্ব মঞ্চের সেমিফাইনালেই ওঠেনি, প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবেও শেষ চারে জায়গা করে নিল মরক্কো। এর আগে ক্যামেরুন (১৯৯০), সেনেগাল (২০০২) ও ঘানা (২০১০) আফ্রিকার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল। এরইসঙ্গে আসর থেকে বিদায় নিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
শনিবার আল থুমামা স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। যেখানে এদিনও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে একাদশে রাখেননি পর্তুগাল কোচ সান্তোস। যদিও ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় দলটি। কিন্তু ব্রুনো ফের্নান্দেসের ফ্রি-কিকে হোয়াও ফেলিক্সের জোরাল হেড রুখে দেন মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।
সপ্তম মিনিটে হাকিম জিয়াশের কর্নারে ইউসেফ এন-নেসিরির হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। যদিও রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজান।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান এন-নেসিরি। তবে জিয়াশের ফ্রি-কিকে তার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। এর চার মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে ফেলিক্সের জোরাল শটে বল মরক্কোর জাওয়াদ ইয়ামিকের গায়ে লেগে ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে যায়।
ম্যাচের ৪২তম মিনিটে এক প্রতি আক্রমণে এগিয়ে যায় মরক্কো। ডি-বক্সের বাইরে বাঁদিক থেকে ইয়াহিয়া আতি-আল্লাহর লম্বা ক্রসে দারুণভাবে হেডের মাধ্যমে গোল করেন ইউসেফ এন-নেসিরি। ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড মরক্কোর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে তিন গোল করলেন।
যদিও বিরতির ঠিক আগে সমতায় ফিরতে পারত পর্তুগাল। ডান দিক থেকে ফের্নান্দেসের ভলি ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় পর্তুগাল। যেখানে ৫২তম মিনিটে মাঠে নামেন রোনালদো। নেমেই বাঁ প্রান্ত দিয়ে দারুণ একটি ক্রসও করেন। তবে সেটি থামিয়ে দেন বোনো।
ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে গনসালো রামোসের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৬৪ মিনিটে ডি–বক্সের বাইরে থেকে ফার্নান্দেজের শট যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। এরপর ৬৮তম মিনিটে ফার্নান্দেজের ক্রসে রোনালদো মাথা ছোঁয়াতে পারলে সমতায় ফিরতে পারতো পর্তুগাল।
খেলার ৮৩ মিনিটে বুলেট গতির এক শট নেন ফেলিক্স। কিন্তু সেই শট দারুণভাবে থামিয়ে দেন বোনো। যোগ করা সময়ে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মরক্কো। ওয়ালিদ শেদিরা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তবে ১০ জনের মরক্কোকে ৬ মিনিট পেয়েও আর কাজে লাগাতে পারেনি পর্তুগাল। ফলে পরাজয় বরণ করেই মাঠ ছাড়তে হয় দলটিকে। শেষ হয়ে যায় রোনালদোর বিশ্বকাপ যাত্রা।