বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন নাজমুল একাদশের অন্যতম ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তবে দলের অন্য সদস্যরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকায় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুশফিকদের। ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন ১০৩ বলে। তবে মোস্তাফিজের বলে ফিল্ডারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। নাজমুলদের ইনিংস থামে ১৭৯ রানে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হন তামিম-নাজমুল। তামিমরা যেখানে পারেননি সেখানে মাহাদী ৮২ রান করে দলকে ২২১ রানের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। দলের বাঘা-বাঘা ব্যাটসম্যানরা যেটা পারেননি সেটা পেরেছেন শেষের দিকে নামা এই ব্যাটসম্যান। শেরে বাংলার যেই উইকেটে রান পেতে হাঁটু কাঁপছে তামিম-মোসাদ্দেকদের সেখানে মেহেদী হাসান চোখে আঙুল দিয়ে যেন লজ্জা দিয়েছেন তামিমদের, যে এই উইকেটেও খেলা যায়। মাহাদীর দেওয়া ভিতে গড়া ২২১ রান টপকে যেতে পারেননি নাজমুলরা। শেষ পর্যন্ত ৪১ রানে জেতে তামিম একাদশ।
তামিম একাদশ: ৫০ ওভারে ২২১/৯ (তামিম ৩৩, তানজিদ ৮, এনামুল ১২, মিঠুন ৪, শাহাদাত ৩১, মোসাদ্দেক ১২, আকবর ২, সাইফ উদ্দিন ৩, মেহেদি ৮২, তাইজুল ২০*, শরিফুল ১*; তাসকিন ১০-০-৪১-১, আল আমিন ১০-১-৪৩-৩, মুকিদুল ১০-০-৪৪-১, নাঈম ১০-৪-২৮-২, সৌম্য ৫-০-৪১-০, রিশাদ ৫-০-২১-২)।
নাজমুল একাদশ: ৪৫.৪ ওভারে ১৭৯ আল আউট (সাইফ ৭, সৌম্য ৯, শান্ত ১, মুশফিক ১০৩, আফিফ ১৫, হৃদয় ৪, শুক্কুর ২৪, নাঈম ০, রিশাদ ০, তাসকিন ৬, মুকিদুল ১*; শরিফুল ১০-১-৩৭-৪, তাইজুল ১০-০-৪৬-০, সাইফউদ্দিন ৮.৪-০-৪১-২, মুস্তাফিজ ৮-২-১৫-৩, মাহেদি ৯-১-৩৭-০)