রফিকুল ইসলাম কামাল (বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট ): সিলেটের কুমারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) নিয়ন্ত্রণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ট্রান্সমিশন-২) এর প্রধান প্রকৌশলী সাইফুল হককে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য রয়েছেন চারজন। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকেও গঠন করা হয়েছে আরেকটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি।
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) রহমত উল্লাহ মো. দস্তগীরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলী, পিডিবির সদস্য (পিএন্ডডি) মুস্তাক মুহাম্মদ, পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) মাসুম আলম বকসি ও পাওয়ার সেলের পরিচালক (সাসটেইনেবল এনার্জি) আব্দুর রউফ মিয়া। এ কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
এদিকে, উপকেন্দ্রে আগুনের ৫৫ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট মহানগরী, নগরীর উপকণ্ঠ ও আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কাল শুক্রবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সিলেট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরেফিন বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ৩১ ঘণ্টা পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে এবং পুরো সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করছি শুক্রবার দিনের বেলা সিলেটে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।’
রফিকুল ইসলাম কামাল
(অপুর রেফারেন্সে প্রেরণ)।সিলেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন: তদন্তে আরেক কমিটি
বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) নিয়ন্ত্রণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ট্রান্সমিশন-২) এর প্রধান প্রকৌশলী সাইফুল হককে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য রয়েছেন চারজন। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকেও গঠন করা হয়েছে আরেকটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি।
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) রহমত উল্লাহ মো. দস্তগীরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলী, পিডিবির সদস্য (পিএন্ডডি) মুস্তাক মুহাম্মদ, পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) মাসুম আলম বকসি ও পাওয়ার সেলের পরিচালক (সাসটেইনেবল এনার্জি) আব্দুর রউফ মিয়া। এ কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
এদিকে, উপকেন্দ্রে আগুনের ৫৫ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট মহানগরী, নগরীর উপকণ্ঠ ও আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কাল শুক্রবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সিলেট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরেফিন বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ৩১ ঘণ্টা পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে এবং পুরো সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করছি শুক্রবার দিনের বেলা সিলেটে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।’